পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম | Passport Correction Online

পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম । Passport Correction Online: পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম ২০২২ নিয়ে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।এই আর্টিকেলে আপনি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম ২০২২ ও পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিপত্র এবং পাসপোর্টের ভুল সংশোধন ফি।পাসপোর্ট সংশোধন 2022 নিয়েও আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।

বলা হয়ে থাকে মানুষ মাত্রই ভুল।তাই হয়তো আমাদের মনের অজান্তেই আমরা আমাদের পাসপোর্ট তৈরি করার সময় বিভিন্ন ভুল তথ্য দিয়ে ফেলি। আমরা যদি সেই ভুল তথ্য গুলো সংশোধন না করি তাহলে আমাদের পাসপোর্টের কোনো কাজেই আসবে না বা আমরা আমাদের পাসপোর্ট কোথাও ব্যবহার করতে পারবো না।আর এই সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম এই আর্টিকেল টি পড়তে থাকুন।

পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম

আপনার পাসপোর্টের ধরন হতে পারে এমআরপি(MRP) অথবা ই-পাসপোর্ট (E- Passport) যেটাই হোক না কেনো আপনি যদি আপনার পাসপোর্ট সংশোধন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার পাসপোর্টটি রি-ইস্যুর জন্য আপনাকে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

পাসপোর্টে আপনি কি কি সংশোধন করতে পারবেন?

পাসপোর্ট সংশোধন করার পূর্বে এটা জানা অনেক জরুরী যে আপনি আপনার পাসপোর্টের কি কি তথ্য সংশোধন করতে পারবেন বা বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস আপনাকে পাসপোর্টের কি কি তথ্য সংশোধন করতে দিবে।আপনি আপনার পাসপোর্টে জন্ম তারিখ, আপনার বাবা কিংবা মায়ের নাম অথবা আপনার পেশা ও ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য ভুল হলে সংশোধন করতে পারবেন।

পাসপোর্টের জন্ম তারিখ ঠিক করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?

আপনার পাসপোর্টের জন্ম তারিখ ভুল হলে সংশোধন করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে আপনার এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড। তারপর আপনার প্রয়োজন হবে সমমান পরীক্ষার সার্টিফিকেট। অর্থাৎ আপনার আপনার জেএসসি বা এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট। আর আপনার পাসপোর্টের জন্ম তারিখ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত হলে ঠিক করতে পারে।

পাসপোর্টে বাবা মায়ের নাম ভুল হলে সংশোধন করতে কি কি কাগজ লাগবে?

আপনার পাসপোর্টে বাবা মায়ের নাম ভুল হলে সংশোধন করার জন্য আপনার এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড এর প্রয়োজন হবে। তার সাথে আপনার জেএসসি অথবা জেএসসি সার্টিফিকেট না থাকলে এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি আপনার যদি বাবার নাম ভুল হয় তাহলে আপনার বাবার এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি প্রয়োজন হবে।আর যদি আপনার মায়ের নাম ভুল হয়ে থাকে তাহলে আপনার মায়ের এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।

পাসপোর্টে যদি পেশা ভুল হয় তাহলে কিভাবে পেশা সংশোধন করবেন?

আপনার পাসপোর্টের পাসপোর্টে যদি পেশা ভুল হয় আর সেটা সংশোধন করার জন্য আপনি যেই জায়গায় চাকরি করেন সেই জায়গায় অর্থাৎ আপনার কর্মক্ষেত্রের একটি প্রত্যয়নপত্র জমা করতে হবে। আপনি যেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেই প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে যেই পরিচয়পত্র দিয়েছে সেই পরিচয়পত্র এর ফটোকপি প্রয়োজন হবে।

পাসপোর্টে ঠিকানা ভুল হলে পরিবর্তন করতে কি কি কাগজ লাগবে?

পাসপোর্টে স্থায়ী ঠিকানা ভুল হলে সংশোধন করার জন্য প্রয়োজন পুলিশ ভেরিফিকেশন এর। এছাড়া পাসপোর্টে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই।

ম্যারিড স্ট্যটাস পরিবর্তন করতে কি কাগজ প্রয়োজন হবে?

ম্যারিড স্ট্যটাস পরিবর্তন বা বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য আপনার পাসপোর্টের আবেদন করার সময় আপনার কাবিননামা জমা দিতে হবে।

পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য কিভাবে আবেদন করবো?

পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য অনলাইনে সরাসরি কোনো আবেদন করার উপায় নেই।আপনাকে একটি পিডিএফ ফাইল ডাইনলোড করতে হবে।আপনাকে সেই ফরমটা পূরণ করতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো আপনি কিভাবে এই পিডিএফ ফাইল ডাইনলোড করবেন? পিডিএফ ফাইল ডাইনলোড করার জন্য  http://www.dip.gov.bd/site/forms/  আপনি এই ওয়েবসাইটে চলে যাবেন।চলে যাওয়ার পর আপনি নিচে পিডিএফ ফাইল ডাইনলোড করার একটা অপশন পাবেন। আপনি ওপেন বাটনে ক্লিক করলে ফাইলটি ডাউনলোড হয়ে যাবে।ডাউনলোড করার পর আপনাকে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।আরও ক্লিয়ার করে বুঝার জন্য নিচের ছবিটি লক্ষ করুন।

পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম । Passport Correction Online
পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম । Passport Correction Online

পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য কতো টাকা লাগবে বা ফি কতো?

আপনার পাসপোর্ট কতো টাকা লাগবে সেটা আপনার ওপর নির্ভর করবে।অর্থাৎ আপনি যদি আপনার পাসপোর্ট এক সপ্তাহ বা সাত (৭) দিনের মধ্যে পেতে চান তাহলে আপনাকে ফি দিতে হবে ছয় হাজার নয়শো টাকা(৬৯০০) টাকা। পক্ষান্তরে আপনি যদি নির্ধারিত সময়ে বা সাধারণ সময়ে পাসপোর্ট পেতে চান তাহলে আপনাকে ফি পরিশোধ করতে হবে তিন হাজার চারশো পঞ্চাশ(৩৪৫০) টাকা।

এখন প্রশ্ন হলো আপনি কিভাবে টাকা পরিশোধ করবেন?বাংলাদেশে যেসকল সরকারি ব্যাংক রয়েছে সেসকল ব্যাংকগুলোতে পাসপোর্ট সংশোধনের ফি গ্রহণ করে থাকে।আপনি সে-সকল ব্যংকের যেকোনো একটা ব্যাংকে জমা দিয়ে দিবেন।পাশাপাশি আপনাকে ব্যাংক থেকে একটি চালান কপি দেওয়া হবে।আপনি সেই চালান কপি সংগ্রহ করে রাখবেন যেটা আপনার পরবর্তীতে প্রয়োজন হবে।

পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম স্টেপ স্টেপ অনুযায়ী সাজিয়ে আর্টিকেল টি লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। আর্টিকেল টি ভালো লাগলে আপনার ফ্রেন্ডদের ও ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Share this Article:

Leave a Comment